October 23, 2024, 7:33 am
দৈনিক আলো প্রতিদিন ডেস্ক: জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজন সাহার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত এবং অশোভন ইঙ্গিতের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী একই বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের স্নাতকোত্তর প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় ওই শিক্ষককে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে আন্দোলনকারীরা।
রোববার (৩ মার্চ) সাজন সাহার বিরুদ্ধে ছাত্রীকে মধ্যরাতে চা পানের নিমন্ত্রণ, অঙ্ক বোঝাতে ব্যক্তিগত চেম্বারে ডাকা, প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় নম্বর কমিয়ে দেওয়া ও থিসিস রিপোর্ট তৈরিতে হয়রানি করার বিভিন্ন অভিযোগ ওঠে।
শুধু তাই নয়, শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাড়ি পরে দেখা করতে বলা, ইনবক্সে ছবি চাওয়া, রিকশা নিয়ে ঘুরতে যাওয়া, ক্যাম্পাসের বাইরে রেস্টুরেন্টে যাওয়ার নিমন্ত্রণ, ম্যাসেঞ্জারে অন্তরঙ্গ ভিডিওর লিঙ্ক শেয়ার করার মতো নানা অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার (৪ মার্চ) দুপুরে প্রশাসনিক ভবনে তালা লাগিয়ে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সাজন সাহাকে শাস্তির আওতায় এনে চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে অপসারণসহ ৬ দফা দাবি জানান। পরে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
এ ধরনের ঘটনাকে বিব্রতকর বলে উল্লেখ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি বলেন, ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ এখনো হাতে পাইনি, সে নিজেও উপস্থিত হয়নি। আমি তার সঙ্গে কথা বলেছি, সে দেখা করবে।
তবে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, আমি উপাচার্য, প্রক্টর এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর ই-মেইলে অভিযোগ পাঠিয়েছি। এর আগে বিভাগীয় প্রধান রেজুয়ান আহমেদ শুভ্রকে জানালে তিনি কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে বরং গোপন রাখতে বলেন। এ ঘটনায় প্রশাসন যদি সুষ্ঠু ব্যবস্থা না নেয় প্রয়োজনে আইনগত পদক্ষেপ নেব। ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতে কোনো নারী শিক্ষার্থী এ রকম হেনস্তার শিকার না হয়।
বিভাগীয় প্রধান রেজুয়ান আহমেদ শুভ্র বলেন, বিষয়টি শোনার পর আমি ওই শিক্ষার্থীকে ইন্টার্নশিপ রিপোর্ট তৈরির বিষয়ে সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস দেই। কিন্তু হঠাৎ অসুস্থ হওয়ায় আমি বিভাগে কয়েকদিন আসতে পারিনি। আমার কাছে শিক্ষার্থীদের গুরুত্ব সবার আগে। অপরাধ করলে দোষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।